অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বার্লিনে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে গার্ডের কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছেন তিনি। লন্ডনে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওই ব্যক্তির বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
লন্ডনের গোয়েন্দারা আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন ওই ব্যক্তি। তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। রাশিয়ার এক সামরিক প্রধানের কাছে বার্লিনে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের সমস্ত তথ্য তিনি পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
যার মধ্যে দূতাবাসের সমস্ত কর্মীর যোগাযোগ এবং ছবি ছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথোপকথন রাশিয়ার কাছে পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
যুক্তরাজ্যের দুই গোয়েন্দা রুশ সেজে ওই গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের কাছে বিশেষ ফোন ছিল। যার সিমে সমস্ত ফোনালাপ রেকর্ড করা হয়। রুশ হিসেবে ওই গার্ডের সঙ্গে দুই গোয়েন্দা দেখা করেন। গার্ডের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপরেই তাকে হাতেনাতে ধরা হয়।
আদালতে ওই ব্যক্তি দোষ স্বীকার করলেও তিনি জানিয়েছেন, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য একাজ তিনি করেননি। অর্থের বিনিময়েও তিনি কাজ করেননি। যে তথ্য তিনি পাচার করেছেন, তার গুরুত্ব তিনি বুঝতে পারেননি।
তবে আদালতে যুক্তরাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতেন ওই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে তাদের হাতে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৪ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে ওই ব্যক্তির।
Leave a Reply